নরসিংদীর মনোহরদীতে উপজেলায় সিএনজি চালক ও তার দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে (২৬) আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। ওই গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী।
গত সোমবার রাতে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা বাচ্ছু মিয়া বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন (২৮)ও রাকিবকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। বাকি আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে মনোহরদী থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর গ্রামের এক গৃহবধূ গত সোমবার সন্ধ্যায় মোবাইলের সিম কিনতে চালাকচর বাজারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে মনতলা গ্রামের সিএনজি চালক নাজমুল (২৮) তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার নাম করে তার গাড়িতে উঠিয়ে নেয়।
পরে নাজমুল গৃহবধূকে তার বাড়িতে না পৌঁছে নাজমুলের বাড়ির নির্জন বসতঘরে নিয়ে সেখানে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পরে নাজমুল তার আরো দুই সঙ্গীসহ গৃহবধূকে পার্শ্ববতী নির্জন নদীর চরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে গৃহবধূ রক্তাক্ত ও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় অভিযুক্তরা তাকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
জ্ঞান ফেরার পর আহত অবস্থায় গৃহবধূ নদীর তীরবর্তী মনতলা বাজারে গিয়ে উপস্থিত মানুষের সামনে কান্না জড়িত কণ্ঠে ঘটনার বর্ণনা করেন এবং অভিযুক্ত নাজমুলের বাড়িও দেখিয়ে দেন। পরে এখান থেকে এলাকবাসীর সহযোগিতায় তাকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। মনোহরদী থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, আশা করি অতিদ্রুতই বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।
টিএইচ